সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পাওনা দেড় হাজার টাকার কারণে কৃষক শফিক আলম শাহকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শফিক আলম শাহ (৪৩) কয়েক দিন আগে সাকু মিয়া শাহ নামে তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সাকু ও তার পরিবারের সদস্যরা সোমবার রাতে শফিক আলমের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে সাকু ও তার পরিবারের সদস্যরা শফিক আলমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে, শফিক আলম অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সকালে শফিক আলমের মরদেহ তার বাড়ির আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে, তার ভাই জহুর আলম শাহ বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি দাবি করেছেন, তার ভাইকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার পর আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে।
জহুর আলম শাহ বলেন, “আমরা গরিব মানুষ, আইনটা বুঝি না। পুলিশ আমাদের বলেছে, বেশি আসামি ধরলে মামলা নষ্ট হয়ে যাবে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ মামলায় আসামিদের গ্রেফতার না করে অভিযোগের ব্যাপারে অবহেলা করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শফিক আলম একজন সাদাসিধে কৃষক ছিলেন এবং ধার করা টাকা পরিশোধের জন্য চাপের মধ্যে ছিলেন। এ ধরনের নির্যাতন তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অনেকের মত। মামলার আসামিরা সাকু মিয়া শাহ এবং তার পরিবারের সদস্যরা। তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি এবং তদন্ত চলছে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।