ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্তে ইলিশের দাম বাড়ার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্তে ইলিশের দাম বাড়ার আশঙ্কা

উৎসবের মরসুমে এপার বাংলায় পদ্মার ইলিশ পৌঁছানোর ধারাবাহিকতা এবার ভাঙছে। বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তিকালীন প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে, চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতকে কোনও ইলিশ রফতানি করা হবে না। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার জানিয়েছিলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


এর আগে, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ও প্রতিবেশী সৌজন্যের অংশ হিসেবে দুর্গাপুজোর সময় ইলিশ রফতানি করা হতো। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে এটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, ইউনূস সরকার ভারত-বিরোধী জনমত এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।


ইলিশ রফতানি বন্ধ হওয়ার ফলে বাংলাদেশের মাছের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। ২০১২ সালেও অভ্যন্তরীণ চাহিদার জন্য একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, যা পরে ২০১৫ সালে পুনরায় শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হাসিনা সরকার ইলিশ রফতানি পুনরায় শুরু করেছিল, তবে এবার সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হলো।


বাংলাদেশি ইলিশের অভাবে ভারতীয় বাজারে অন্য উৎস থেকে ইলিশ আমদানি বাড়ছে। মায়ানমার এবং ওড়িশা থেকে আসা ইলিশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কলকাতার মাছ আমদানিকারক সমিতির সদস্য রঞ্জন সাহা জানান, “মায়ানমার এবং ওড়িশা থেকে ইলিশ আমদানি ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ বেশি দামে হচ্ছে। বাংলাদেশি ইলিশের অভাবের কারণে কলকাতা ও রাজ্যের বাজারে দাম আরও বৃদ্ধি পাবে।”


বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের প্রভাবে দুর্গাপুজোর আনন্দে কিছুটা কমতি আসতে পারে, বিশেষত যাঁরা ইলিশ প্রেমী। তবে, উৎসবের মরসুমে বাজারে কিছুটা স্বস্তি পেতে মায়ানমার ও ওড়িশার ইলিশের দিকে নজর রাখতে হবে।