প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক আগ মুহূর্তেই আবারও আলোচনায় আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনা। এবার তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দিয়েগো ম্যারাডোনার জীবন বৈচিত্রে ভরা। খেলোয়াড়ি জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বারবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। মাঠের ফুটবলশৈলী কিংবা মাঠের বাইরের বিতর্কি ত অনেক কর্মকাণ্ড সবকিছুই সমানতালে চলত তার।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের বরাতে জানা গেছে, কিউবার এক নারী ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি এ কারণে একসময় তার মাথায় আত্মহত্যার চিন্তাও এসেছিল।
ম্যাভিস আলভারেজ নামের ৩৭ বছর বয়সী ওই নারী অভিযোগ করেন, আজ থেকে ২১ বছর আগে অর্থাৎ তার বয়স যখন ১৬, সে সময়ে ম্যারাডোনা কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছিলেন তিনি। আর যে কারণে তার শৈশবটা নরক হয়ে গিয়েছিল।আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ম্যারাডোনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তার আগেই এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল।
সম্প্রতি এ নিয়ে আর্জেন্টিনার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ম্যাভিস। আর তার আগে বিষয়টি নিয়ে দেশটির সাংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, দিয়েগোর বয়স তখন ৪০ বছর। মাদকের নেশা ছাড়ানোর জন্য হাভানাতে একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করেন ম্যারাডোনা। কিউবান এই নারী আরও বলেন, তার কারণে আমার শৈশবটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ের কথা মনে হলে এখনো আঁতকে উঠি।
তবে ম্যাভিস আলভারেজ এটাও স্বীকার করেন, প্রথমদিকে তাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ সেও আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছিল। কিন্তু তারপরই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। এমনকি ম্যারাডোনা তাকে জোর করে মাদক সেবন করাতে চেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ এই নারীর। তিনি বলেন, আমি তাকে ভালোবাসতাম, আবার ঘৃণাও করতাম।
ম্যাভিস জানান, তাদের দু’জনের সম্পর্ক টিকেছিল ৫ বছর। তবে এ সময়ের পুরোটাই তাকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ম্যারাডোনা তাকে একবার তার হাভানার ঘরে ধর্ষণ করেছিলেন। এর বাইরে অনেকবার শারীরিক নির্যাতনের শিকারও হতে হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।