শত বার আপা বলা সেই তানভীরকে বহিষ্কার করলো নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
শত বার আপা বলা সেই তানভীরকে বহিষ্কার করলো নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ জ্যাকসন হাইটস ইউনিট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর কায়সারকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তার অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। 


মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুর রহমান একটি লিখিত আদেশে তানভীর কায়সারকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দেন। উক্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়, বার বার সতর্ক করার পরও তানভীর কায়সার দলের নীতি ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। এর ফলে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


রফিকুর রহমান বলেন, “১২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপের পর তানভীর কায়সার অডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করেছেন। একজন দলীয় কর্মী হয়ে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির দলে থাকার অধিকার নেই।”


ঘটনার পর তানভীরের ফেসবুক একাউন্টের প্রোফাইল বন্ধ হয়ে গেছে। ফোনালাপে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আন্দোলন করবেন। কিন্তু তিনি নিজেকে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের হাতে ‘নির্যাতিত’ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন।


তানভীর কায়সার ২০১৯ সালের ৪ জুন লস অ্যাঞ্জেলস হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। তার ভিসা ছিল ভ্রমণ ভিসা, তবে তিনি কিছুদিন পর দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাকে নির্যাতন করেছে এবং এজন্য তিনি নিরাপত্তা চান। ২০২০ সালের ৭ মে তিনি দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন।


এদিকে, তানভীর কায়সারের জন্ম ১৯৮৯ সালের ৭ ডিসেম্বর। তার বাবা সোলেমান কায়সার এবং মা নিলুফার ইয়াসমিন। তার স্ত্রীর নাম রুকাইয়া আযাদ। তবে, আওয়ামী লীগের দায়িত্বে তিনি কিভাবে রয়েছেন এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।


উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বহু মানুষের কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ব্যবহারকারী বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মন্তব্য করেছেন। তবে, কল রেকর্ড কীভাবে ফাঁস হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।