কর্মবিরতি শুরু, ৬৫ সহস্রাধিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ

শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিও চলবে।”

এর আগে বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বহু শিক্ষক আহত হন। আহত শিক্ষকদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন প্রদান, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান এবং ১০০ শতাংশ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। ফলে কর্মবিরতি চলমান থাকলে দীর্ঘসূত্রতা শিক্ষার্থীদের পাঠে বড় ধরনের ছাড় সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।