এক সময়ের ইট ভাটা এখন "স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ" মন কাড়ছে মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৭ অপরাহ্ন
এক সময়ের ইট ভাটা এখন "স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ" মন কাড়ছে মানুষের

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মহালছড়ি উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত "স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ" এখন এক নতুন রূপ ধারণ করেছে। কয়েক বছর আগে যেখানে ছিল ইটভাটার পোড়া মাটির স্তুপ, আজ সেখানে রয়েছে নানান রঙের ফুলের ভরা বাগান। স্থানীয়দের কাছে এটি এখন "মহালছড়ি ফুল বাগিচা" নামেও পরিচিত। জেলা শহর সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে ফুলের সৌরভ উপভোগ করতে আসেন। তাছাড়া, খাগড়াছড়ি ভ্রমণে আসা পর্যটকরা এখানে ফুলের মুগ্ধতা উপভোগ করতে ভীড় জমান।


এ ফুল বাগিচায় ২৪ ঘণ্টা নানান জাত ও রঙের ফুলের মিশ্রিত বিশুদ্ধ বাতাস এবং সৌরভ মানুষের মন মাতিয়ে রাখে। বসন্তের হাওয়ায় সতেজ হয়ে উঠেছে গাঁদা ফুল, ফুলগুলোতে উড়ে উড়ে নাচছে নানা রঙের প্রজাপতি। চারপাশে মৌমৌ করছে রঙিন ফুলের সৌরভ।


এ ফুল বাগিচা তৈরি করেছেন স্থানীয় তরুণ উদ্যোক্তা মো. খালেদ মাসুদ সাগর। তিনি আইন বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই ২০২৪ সালে ২ একর জমিতে ফুল চাষ শুরু করেন। শুরুতে দেশি-বিদেশি ১০০ প্রজাতির ফুল নিয়ে শুরু হলেও এক বছরে তার ফুলের সংখ্যা বেড়ে ২০০ প্রজাতির ৪০০ ফুলে পৌঁছেছে। বর্তমানে এটি বানিজ্যিক চাষাবাদে রূপান্তরিত হচ্ছে এবং দর্শনার্থীদের জন্য আঞ্চলিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।


স্বপ্নবিলাস ফুল বাগিচায় প্রবেশ করতে হলে মাত্র ৩০ টাকা টিকেটের বিনিময়ে প্রবেশ করা যাবে। প্রবেশকারীরা এখানে ফুলের সৌরভে মগ্ন হয়ে ছবি তুলতে পারেন, কিন্তু ফুল ছেঁড়ার অনুমতি নেই। এমন শর্ত মেনে দর্শনার্থীরা আনন্দের সাথে এখানে ফুলের সৌরভ উপভোগ করেন।


স্থানীয় সাংবাদিক শফিক ইসলাম বলেন, একসময় যেখান দিয়ে চলাচল করা কঠিন ছিল, আজ সেখানে ফুলের সৌরভে পথচারীরা হাঁটতে পছন্দ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমও বলেন, "এটি এলাকার চেহারা পাল্টে দিয়েছে।"


স্বপ্নবিলাসের উদ্যোক্তা মো. খালেদ মাসুদ সাগর জানান, "খাগড়াছড়ি ও মহালছড়ির আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী, এজন্যই আমি ফুল চাষ শুরু করেছি এবং এটি বানিজ্যিক চাষে রূপান্তরিত করেছি।"