প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, ১২:১৭
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট আজ উপস্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এই বাজেট বক্তৃতা দেশের ৫৪তম বাজেট এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল পথে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। বাজেটের মূল লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এবার উন্নয়ন বাজেট ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরদিকে রাজস্ব বাজেট বেড়ে দাঁড়াবে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা, যা আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ। এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিস্তার, বয়স্কভাতা, কৃষি ও বিদ্যুৎ ভর্তুকি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাংক খাতে সংস্কারও গুরুত্ব পাবে। এছাড়া, বেতন-ভাতা ও প্রণোদনার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকবে।
আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজস্ব নীতিকে আরও কার্যকর করা হবে। কর পরিপালন বৃদ্ধি, স্থানীয় শিল্পে সহায়তা ও এফডিআই আকৃষ্ট করার দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কর কাঠামো সহজ করার লক্ষ্যে ভ্যাট আইন ও শুল্ক হার সংশোধন করার কথাও বলা হয়েছে।
উন্নয়ন বাজেটে নতুন কোনো মেগা প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মাতারবাড়ি উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া কোনো নতুন উচ্চ-ব্যয় প্রকল্প শুরু হবে না। এতে বোঝা পড়বে না ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর।
সব মিলিয়ে, চলমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই বাজেটকে সরকার বাস্তবমুখী, বিনিয়োগবান্ধব এবং গণমুখী হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়।