কক্সবাজারের টেকনাফে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রবিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারের সময় ওই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত ব্যক্তি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অলি আহমদের ছেলে মো. রশিদ আহমেদ (৪৫)।
বিজিবি জানায়, রোববার রাতে লেদা বিওপি’র (বর্ডার আউটপোস্ট) সদস্যরা গোপন তথ্য পেয়ে সীমান্তবর্তী মেম্বারের চিংঠি ঘের এলাকায় অবস্থান নেন। সেখানে তারা একটি নৌকা দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করা তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে চলাচল করতে দেখে। বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে দুই পাচারকারী দ্রুত নৌকায় উঠে পালিয়ে যায়। তবে, একজন পাচারকারীকে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি সদস্যরা ব্যাগটি তল্লাশি করে এর মধ্যে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরে আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে এসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছিল। আটক ব্যক্তির পরিচয় হিসেবে তার নাম মো. রশিদ আহমেদ এবং তিনি কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহীউদ্দীন আহমেদ জানান, পাচারকারী রশিদ আহমেদ মায়ানমার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বাংলাদেশে পাচারের কাজে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে জব্দকৃত ইয়াবাসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, সীমান্তে মাদকের চোরাচালান রোধে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন এবং এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, এই ঘটনার পর স্থানীয়রা বিজিবির তৎপরতার প্রশংসা করেছেন এবং তারা আশা করছেন, মাদকের এই নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃতভাবে ভাঙতে সক্ষম হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।