খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা ও গুণী সাংবাদিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার ২২শে নভেম্বর ২০২৪ ০৫:০২ অপরাহ্ন
খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা ও গুণী সাংবাদিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

এতিহ্যবাহী খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সাধারণ সভা এবং পার্বত্যাঞ্চলের গুণী সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গত ২২ নভেম্বর খাগড়াছড়ি সদরস্থ অফিসার্স ক্লাবের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


সকালে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. জহুরুল আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী'র আমীর সৈয়দ আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গুণী সাংবাদিক বাদশা মিয়া, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও গুণী সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, এবং খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জসীম উদ্দিন মজুমদার। 


অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার সম্পাদক এবং খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গুণী সাংবাদিক এ. কে. এম মকসুদ আহমেদ। এ সময় উপস্থিত সকল অতিথি এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি পার্বত্যাঞ্চলের সাংবাদিকতার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন।


এছাড়া, অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি ও পার্বত্য অঞ্চলের গুণী ও সিনিয়র সাংবাদিকদের বিশেষ সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসব সাংবাদিকরা দীর্ঘ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় অবদান রেখে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন এবং গণমাধ্যমের গতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি উপস্থিত সকলের কাছে স্মরণীয় হয়ে ওঠে। 


প্রধান অতিথি ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, "সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, তাদের কাজ শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, তারা জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেন। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" 


এছাড়া, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা এবং গুণগত মান উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সংগঠনের অঙ্গীকার এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়েও বক্তব্য প্রদান করেন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। 


অনুষ্ঠানটি শেষ হয় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে, যাতে সাংবাদিকদের কল্যাণ, দেশ ও জাতির উন্নতি কামনা করা হয়।