আগামী ১৫ বছরে দক্ষিনাঞ্চল অর্থনৈতিক হাবে পরিণত হবে -নৌ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরাজী মো.ইমরান, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৮ই জুন ২০২১ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
আগামী ১৫ বছরে দক্ষিনাঞ্চল অর্থনৈতিক হাবে পরিণত হবে -নৌ প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চলালের অন্যতম মাধ্যম নৌপথ। এসব নৌপথ গুলো যেরকম সুগম থাকার কথা লঞ্চঘাট গুলো যে পরিমান  যাত্রীবান্ধব থাকার কথা দুর্ভাগ্য বশত পঞ্চাশ বছরেও সে রকম সুবিধা দেয়া সম্ভব হয়নি। 




পায়রা বন্দরের সঙ্গে  অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ  ঠিকঠাক ও গতিশীল রাখতে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখনই পদক্ষেপ না নেয়া হলে পায়রা বন্দরে  যখন কার্যক্রম শুরু হবে এগুলো কোন কাজে আসবে না। তাই পযর্বেক্ষনের মাধ্যমে ত্রুটিবিচ্যুতি গুলো আমলে নিয়ে সেগুলো ঠিক ঠাক করতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। 




মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উঠে আসার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। পায়রা বন্দর, শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পায়রা সেতু, অর্থনৈতিক অঞ্চল ধীরে ধীরে বিকশিত হচ্ছে। আগামী পনের বছরে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক হাবে পরিণত হবে পটুয়াখালী জেলা। 




বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী নৌ রুট ও নদী বন্দর পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে বরিশাল বিভাগের একত্রিশটি নৌরুট নিয়ে স্টাডি করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে ডিপিপি প্রণয়ন করা হচ্ছে। কাজ করা হলে এসব নৌ রুটে আর নাব্যতা সংকট থাকবে না। আমাদের পয়তাল্লিশটি  ড্রেজার সংগ্রহে আছে আরও পয়ত্রিশটি সংগ্রহ করা হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 





প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ব-দ্বীপ এখানে সিল্ট্রেশন হবেই। সিল্ট্রেশন এর ফলে যেখানেই নাব্যতা সৃষ্টি হচ্ছে সেখানেই ড্রেজার পাঠিয়ে নৌরুট সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। 





পায়রা বন্দরের নাব্যতা সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, রাবনাবাদ চ্যানেলে ম্যানটেইনেন্স ড্রেজিং চালু রয়েছে। তিন দিন আগে বেলজিয়ামের ড্রেজিং কোম্পানি জানজিনুল এর সাথে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ২০২৩ সালের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে। তখন আর সেখানে নাব্যতা সংকট থাকবে না চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার মেট্রিকটন পন্য ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ অনায়াসে বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। 





এ সময় জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ,  জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান,  সদর উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 




এর আগে মন্ত্রী  বগা লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন। রাতে পায়রা বন্দর পরিদর্শন করবেন তিনি।  শুক্রবার তিনি গলাচিপা লঞ্চঘাট, বোয়ালিয়া স্লুইচগেইট ঘাট, পানপট্রি লঞ্চঘাট, বদনাতলী, দশমিনার আউলিয়াপুর ও হাজিরহাট ঘাট পরিদর্শন করবেন।