সীমান্ত হত্যার ধরন বদলেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আগে বিএসএফ গুলি করে মারত। এখন আমাদের লোকজন চুরি করতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন। বুধবার (২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তবে সীমান্ত হত্যা উল্লেখজনক হারে কমেছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, এখন হাতেগোনা কয়েকজন মারা যাচ্ছেন। এটা উন্নতি করে জিরোর কোঠায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু লোক তাদের (ভারতীয়) সম্পত্তি আহরণ করতে বা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ছে। তখন ওরা (ভারতীয়রা) তাদের পিটিয়ে হত্যা করছে। মন্ত্রী বলেন, তবে আমরা হত্যা চাই না। এ বিষয়ে দুই দেশই একমত। তিনি বলেন, ২০০৩, ২০০৬ সালের দিকে সীমান্তে কয়েকশ করে বাংলাদেশি মারা যেত, এখন মাত্র কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে। আমরা চাই সীমান্তে মৃত্যু জিরোতে নেমে আসুক।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চারদিনের সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে অংশ নিতে এ সফর হলেও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। ৩-৪ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী, শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ সফরে সীমান্তে হত্যা নিয়ে এবং দুই দেশের মধ্যে আরও অবাধ যাতায়াত নিয়ে আলোচনা হবে। বাণিজ্য শুল্কমুক্ত, নৌ ও সমুদ্রপথে যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা হবে। রেল, বিমান ও সড়কে যাতায়াত আরও সহজ করতে করণীয় নির্ধারণ হবে। গঙ্গা ও তিস্তার পানিবণ্টন, নৌ পরিবহনের পরিধি ও সংখ্যা আরও বাড়ানোর আলোচনায় স্থান পাবে। সমুদ্র সহযোগিতা কীভাবে আরও বাড়বে তাও আলোচনা হবে।’ কূটনৈতিক সূত্র জানায়, দুই দেশের মধ্যে ৮টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।