ছাত্রলীগের বর্তমান ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে দেড় শতাধিক নেতা আসন্ন সম্মেলনে বাদ পড়তে পারেন। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগের পাশাপাশি মাদকে সম্পৃক্ততার প্রমাণ রয়েছে খোদ আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডের কাছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি দলীয় ফোরামের একটি আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি ছাত্রলীগের এমন নেতা চাই না, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।’
এদিকে নতুন সম্মেলনের আগে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দিয়ে কিছুদিন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গেছে। পরবর্তী সময়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা জানা যাবে আগামীকাল শনিবার। ঐ দিন সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের সার্বিক বিষয়টি দেখছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এখন ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের কাজ চলছে। এক্ষেত্রে পারিবারিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি সংগঠন পরিচালনায় দক্ষতাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সংগঠন পরিচালনার দক্ষতাকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পর্যালোচনা করা হচ্ছে বঞ্চিত নেতাদের জীবন-বৃত্তান্তও।
এক্ষেত্রে হাইকমান্ডের কাজে সহযোগিতা করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চার নেতা। এরা হলেন : দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হক।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।