আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক মঙ্গলবার আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাকে রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যামামলায় হাজির করা হয়েছিল। এজলাসে আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আব্দুর রাজ্জাককে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়।
ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক মামলার শুনানির পর আব্দুর রাজ্জাকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর রিমান্ডের জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি দেন, যেখানে আব্দুর রাজ্জাকের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি চলাকালে আব্দুর রাজ্জাক আদালতকে বলেন, “আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছি। ২৪ বছর সরকারি চাকরি করেছি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি দেশপ্রেমের তাড়নায়।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “স্বাধীনতার আগে আমি স্বৈরাচার আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে জনসমাবেশ করেছি। আমার বয়স যখন ১১ মাস, তখন বাবা মারা যান। আমি ও আমার ভাই নানা বাড়িতে মানুষ হয়েছি।”
আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন যে, তিনি যে মামলার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন, তার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। “আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই,” বলেন তিনি।
এদিকে, নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ নিহত হন।
আব্দুর রাজ্জাকের গ্রেফতার এবং subsequent রিমান্ডের ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এতে নতুন করে সিলেবাসে রাজনৈতিক চর্চা এবং ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।