প্রকাশ: ৭ নভেম্বর ২০২১, ৩:৩৯
ঘুষ কর্মকান্ডে হাতে নাতে ধরা পরেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানা। সেই দিনই ছুটি নিয়ে অফিস ত্যাগ করেন। সাব-রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতিতে সেবা গ্রহীতারা পড়েছে বিপাকে। গত (বৃহস্পতিবার) ৪ নভেম্বর মাহফুজ রানার ঘুষ কর্মকান্ড হাতে নাতে ধরেন গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক এম এ খালেক।
ঘুষ কর্মকান্ড ধরার পর এম এ খালেক বলেন, সাব রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানার ঘুষ কর্মকান্ডের কথা অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি কিন্তু তার বাস্তবতা বা প্রমান পায়নি বলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন হাতে নাতে ধরার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব।
সাব রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানা গত (বৃহস্পতিবার) ৪ নভেম্বর একজন সেবা গ্রহিতার দলিল রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করার জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের প্রত্যায়ন পত্র অগ্রাহ্য করে টাকা দাবি করেন। পরে সেই সেবা গ্রহিতা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত করেন। এদিকে সেবা গ্রহীতা উপজেলার সানঘাট গ্রামের মেম্বর মনিরুল ইসলামের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজনে জমি বিক্রয় করা জরুরী হয়ে পড়ার কারণে বাধ্য হয়ে ৩ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে রেজিষ্ট্রি কর্ম সম্পাদন করান।
মাহফুজ রানার এই ঘুষ কর্মকান্ডের কথা জানার পর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজিষ্ট্রি অফিসে আসেন এবং তিনি তার সত্যতা পান।
এদিকে মাহফুজ রানার ঘুষ কর্মকান্ডের প্রতিবাদে রবিবার ৭ নভেম্বর থেকে দলিল লেখকরা ৩দিনের কলম বিরতি পালন করার ঘোষনা দেন। এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি খানমের হাতে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফাকের আলির নেতৃত্বে স্মারক লিপি প্রদান করেন।
ঘুষ কর্মকান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে সাব রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানা বলেন, ঘুষের টাকা আমাকে কেউ দেয়নি। আমি ঘুষকে ঘৃনা করি। তবে শুনেছি অফিসের নকলনবিশ আবুল কালাম টাকা ধরেছে।