গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এমদাদুল হক (৪৯) নামের এক ভুঁয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমদাদুল কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নাখারগঞ্জ চওড়াটারী গ্রামের ময়েন উদ্দীনের ছেলে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যাল’র প্রোডাকশন অফিসার জুলফিকার হাবীবের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ী যাওয়ার কথা বলে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমদাদুল হককে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার দিবাগত রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা সড়কের গাইবান্ধা সদর উপজেলার মৌজা মালিবাড়ি এলাকা থেকে এমদাদুল হককে গ্রেফতার করে।
এমদাদুল হক দীর্ঘদিন ধরে জামাল হোসেন নাম ব্যবহার করে নিজেকে এমবিবিএস, এফসিপিএস (ফিজিক্যাল এ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন) পরিচয় দিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শোভাগঞ্জ, মীরগঞ্জ, বামনডাঙ্গা, ছাইতানতলা, ডোমেরহাট, মন্ডলেরহাট, সীচাবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঔষধ বিক্রেতাদের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার করে চিকিৎসার সেবার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন।
এছাড়াও চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা অভিযোগ রয়েছে। গত ৩১ জুলাই ছাইতানতলা বাজার থেকে কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যাল’র প্রোডাকশন অফিসার জুলফিকার হাবীবের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ী যাওয়ার কথা বলে আত্মগোপন করেন।
পরে নানাভাবে টালবাহনা করতে থাকলে জুলফিকার হাবীব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারেন এমদাদুল হক একজন ভুঁয়া ডাক্তার। তার কোন ডাক্তারি সার্টিফিকেট নেই। তিনি এক সময় ঢাকায় এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, এমদাদুল হককে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।