বিরতির আগে সাইফের বিদায়
মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হল না বাংলাদেশের। দলীয় ১৮ রানের মাথায় নায়াউসির বলে চাকাবভার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান (৮)। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৫ রান। ক্রিজে ওপেনার তামিম ইকবাল ১০ ও নাজমুল হোসাইন শান্ত ৫ রান নিয়ে অপরাজিত আছে। বর্তমানে লাঞ্চ বিরতিতে আছে খেলা। এর আগে আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলামের অসাধারণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এদিন মাত্র ৩৯ রান যোগ করে ২৬৫ রানে থেমে যায় তাদের প্রথম ইনিংস।
গতকালের ৬ উইকেটে ২২৬ রান নিয়ে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামে সফরকারীরা। বাংলাদেশি পেসারদের আক্রমণ একের পর এক ঠেকাতে থাকেন সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। তবে দলীয় ২৪০ রানের মাথায় লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হন রাহী। তার শিকার হন ডোনাল্ড ত্রিপানো (৮)।
তার বিদায়ের খানিক পরেই আবারও জায়েদের আঘাত। এবার তার বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন আনিসলে এন্দোলভু। তাকে শূন্য রানে ফেরান এ পেসার। সেখান থেকে কোমড় সোজা করে দাঁড়ানোর আগেই আঘাত হানেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। চার্ল্টন টিসুমাকে এলবিডব্লিউয়ে সাজঘরে ফেরান তিনি।
সেখান থেকে রেগিস চাকাভা বড় সংগ্রহের লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যান। তবে তাকে আর বেশিদূর যেতে দেননি স্পিনার তাইজুল। বাউন্ডারি মারতে গিয়ে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেব আউট হন তিনি। মাঠ ছাড়ার আগে সফরকারীদের মূল্যবান ৩০টি রান উপহার দেন এ ব্যাটসম্যান।
ফলে, দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনের আগেই ২৬৫ রানে অলআউট হতে হয় জিম্বাবুয়কে। স্বাগতিকদের পক্ষে পেসার আবু জায়েদ রাহী ও স্পিনার নাঈম হাসান ৪টি করে উইকেট লাভ করেন। আর বাকি দুটি নেন বাম হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল শনিবার প্রথমদিনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় সফরকারীরা। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উল্টো বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিয়েছিল তারা। পরে একে একে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান। তাতে সঙ্গী হন আজকের ২টিসহ চার উইকেট নেয়া আবু জায়েদ রাহীও।
যাতে প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২২৮ রান। দিনের একবারে শেষ বেলায় এসে নাঈমের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। তবে তার আগে কাজের কাজটিই করে গেছেন এই বাঁহাতি। ষষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে খেলেন ১০৭ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। ২২৭ বলের সে ইনিংসে ছিল ১৩টি দর্শণীয় চারের মার। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে সেঞ্চুরি করে দিনের সেরা যেমন ছিলেন আরভিন। তেমনি এই তারকাকে ফেরানো নাঈমও দিনের সেরা ছিলেন বাংলাদেশ শিবিরে। সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম দিনের সফল বোলার ছিলেন টাইগার এই তরুণ স্পিনার।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।