ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল করতে পারেনি কোনো দলই। ইনজুরি টাইম যোগ করা হয় আরও ৭ মিনিট। তাতেও দেখা নেই গোলের। অবশেষে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই প্যারাগুয়েকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে ব্রাজিল।পোর্তো আলেগ্রেতে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টায় শেষ আটের প্রথম ম্যাচে টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।খেলার প্রথমার্ধের শুরু থেকেই প্যারাগুয়েকে অনেকটা চাপে রাখে ব্রাজিল। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই রবার্তো ফিরমিনো পেয়ে যান গোলের সুযোগ। কিন্তু পেনাল্টি এরিয়া থেকে সেটিকে কাজে লাগাতে পারেননি ফিরমিনো। প্রথমার্ধের পুরো সময় ব্রাজিল দুর্দান্ত খেললেও গোলের দেখা পায়নি।
প্রথমার্ধে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল প্যারাগুয়েও। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে পেরেজের কাছ থেকে বল পেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে শট নেন গঞ্জালেজ। এলিসন বেকারের দুর্দান্ত সেভে গোলবঞ্চিত হয়। প্রথমার্ধের এই ৪৫ মিনিটের শেষদিকে দশ মিনিটের ব্যবধানে চারজন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। প্যারাগুয়ের সান্তিয়াগো আরজামেন্দিয়া দুয়ার্তে, ইভান পিরিস ও জুনিয়র আলোনসো এবং ব্রাজিলের ফিলিপ্পে লুইস দেখেন হলুদ কার্ড। গোলশূন্য ব্যবধানেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বড় ধাক্কা খায় প্যারাগুয়ে। ৫৪তম মিনিটে ফাবিয়ান বালবুয়েনা তাদের ডি-বক্সের মুখে রবের্তো ফিরমিনোকে ফাউল করলে প্রথমে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। পরে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পাল্টে ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ডিফেন্ডার বালবুয়েনাকে দেখান সরাসরি লাল কার্ড। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় প্যারাগুয়ে।
প্রতিপক্ষে একজন কম থাকার সুযোগে কাজে লাগাতে চেষ্টা করে ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে স্বাগতিকরা। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় সবই ভেস্তে যায়।ম্যাচের ৬৯ মিনিটে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে জোরালো শট নেন আর্থুর। তবে সেটিকে জালে প্রবেশ করতে দেননি প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্দেজ। ৭৪তম মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগটি পান গাব্রিয়েল জেসুস। কিন্তু ছোট ডি-বক্সের বাইরে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর এভেরতনের শট একজনের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় ব্রাজিলের জালে আক্রমণ করার একদমই সুযোগ পায়নি প্যারাগুয়ে। ব্রাজিলের আক্রমণ সামাল দিতে প্যারাগুয়ের কোচ একাধিক খেলোয়াড় পরিবর্তন করে রক্ষণের শক্তি বাড়ান।শেষের ১০ মিনিটে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও জালে বল গড়াতে পারেননি সেলেসাওরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে ইনজুরি টাইম যোগ করা হয় আরও ৭ মিনিট। যাতে বেশ কয়েকটি জোরালো আক্রমণ করেও গোল আদায় করতে পারেনি ব্রাজিল। ফলে টাইব্রেকারে যাওয়ার বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিফাইনালের উঠে এ টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচে গোল হজম না করা স্বাগতিকরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।