দীনেশ কার্তিকের অনবদ্য অর্ধশতরান, এবং দুই স্পিনারের ঘূর্ণিও বাঁচাতে পারল না কেকেআরকে। ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে আইপিএল থেকে কার্যত ছিটকে গেল নাইটরা। মরণ-বাঁচন ম্যাচে কেকেআর হারল ৩ উইকেটে।এদিন ইডেনের ব্যাটিং সহায়ক পিচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান করে কলকাতা। টুর্নামেন্টে বেঁচে থাকতে হলে জিততেই হবে, এই পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হন অজি ওপেনার ক্রিস লিন। শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। নীতীশ রানা, শুভমন গিলরাও খুব একটা নজর কাড়েননি। কিন্তু তাদের সেই সব ব্যর্থতা ঢেকে দেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। মাত্র ৫০ বলে ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
চাপ ছিল পাহাড়প্রমাণ। দলের যাবতীয় ব্যর্থতার দায় তার উপরই চাপছিল। তাছাড়া অধিনায়ক হিসেবেও অনেকটা দিশেহারা দেখাচ্ছিল দীনেশ কার্তিককে। প্রশ্ন উঠছিল তার বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া নিয়েও। সেসব প্রশ্ন হয়তো এক ইনিংসেই থামিয়ে দিলেন কেকেআর অধিনায়ক। ঘরের মাঠে মরণ-বাঁচন ম্যাচে নিজের জাত চেনালেন কার্তিক। বুঝিয়ে দিলেন কেন তাকে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এবং এই মুহূর্তে কেন তাকে দেশের সেরা ফিনিশারদের মধ্যে ধরা হয়। কার্তিকের ইনিংসের সুবাদরেই ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর খাড়া করে কেকেআর।কিন্তু কার্তিকের এই দুর্দান্ত ইনিংসেও শেষরক্ষা হল না নাইটদের। আরও একবার ডোবাল বোলারদের ব্যর্থতা। ১৭৬ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিং করতে নেমে, পেসাররা একেবারেই সুবিধা করতে পারলেন না। সুনীল নারিন এবং পীযূষ চাওলার দুর্দান্ত ঘূর্ণির জেরে কেকেআর ম্যাচে লড়াই দিলেও পেসারদের ব্যর্থতায় হারতে হল। রাজস্থানের হয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন তরুণ ক্রিকেটার পরাগ। এই ম্যাচে হারের ফলে, আইপিএলে কেকেআরের লড়াই কার্যত শেষ। নিজেদের সবকটি ম্যাচ জিতলেও অন্য দলের ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হবে কলকাতাকে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।