রাজধানীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর, যা অবশেষে সত্যি হলো। দুপুর দেড়টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে। প্রথমে টিপটিপ বৃষ্টি হলেও সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডসহ অনেক এলাকায় মুষলধারায় বর্ষণ হয়, যা নগরবাসীর চলাচলে ভোগান্তি তৈরি করে।
শনিবার ৯ ফাল্গুন, সাধারণত এই সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শীত অনুভূত হয়। তবে এবছর মাঘ শেষ না হতেই গরম পড়তে শুরু করেছে। ফলে আকস্মিক বৃষ্টিতে অনেকে প্রস্তুত ছিলেন না। রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ, ফুটপাতের ব্যবসায়ী এবং বাইরের শ্রমজীবীরা কিছুটা দুর্ভোগে পড়েন। রিকশাচালকরা ভিজে গন্তব্যে ছুটেছেন, অনেকে বাসের অপেক্ষায় বৃষ্টিতে ভিজেছেন।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাবে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া আগামীকাল রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশাও পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওই দিন আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে, তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী পাঁচ দিনে বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে আকস্মিক বৃষ্টিপাত চলতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় এবছর গরম পড়তে শুরু করেছে একটু আগেভাগেই, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হতে পারে।
বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলে পানি জমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক হলেও নগরবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে যাঁরা প্রতিদিন বাইরে চলাচল করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।