পটুয়াখালীর মসজিদ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের বড় রাঢ়ী বাড়ি জামে মসজিদের জানালার গ্রিলে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় আসাদুল রাঢ়ী (৫০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করে জানালার গ্রিলে তার মরদেহ ঝুলতে দেখে। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আসাদুল রাঢ়ী দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, আসাদুল রাঢ়ী বেশ কিছুদিন ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। মানসিক সমস্যা থাকার কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে তাদের ধারণা। তবে পুলিশের তদন্তের আগে নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়।
মসজিদের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফজরের নামাজ আদায় করতে এসে মরদেহ দেখতে পাওয়ার পর অনেকেই হতবাক হয়ে পড়েন। পরে খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের এলাকার লোকজন সেখানে ভিড় জমান।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বললেও তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাইছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় প্রশাসন সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দূর করতে ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি, যদি কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তাহলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।