নর্থ ক্যারোলিনায় একটি নির্বাচনী প্রচারের সময়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলকে পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরামর্শ দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ইরান প্রায় ২০০টি মিসাইল ইসরাইলের দিকে ছোঁড়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ট্রাম্পের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন, তখন তার উচিত ছিল শক্তিশালী জবাব দেওয়া। ট্রাম্প বলেন, "বাইডেনকে প্রথমেই বলার উচিত ছিল, পরমাণু স্থাপনায় হামলা করুন, তারপর বাকিটা পরে দেখা যাবে।"
ইরান-ইসরাইল সম্পর্কের এই উত্তেজনা পূর্বে অনেকটা স্তব্ধ ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক হামলা পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে নিয়ে গেছে। বুধবার বাইডেনের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, "না," ইরানের স্থাপনায় হামলার বিষয়ে সমর্থন করবেন না।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য রাজনৈতিক পরিসরে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য সংকটের বিষয়টি নিয়ে প্রচারণায় খুব কম কথা বলেছেন, কারণ আগামী নভেম্বরে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সাথে কঠোর প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করার লক্ষ্যে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই উদ্যোগের ফলাফল আশানুরূপ দেখা যায়নি। বরং সংঘাতের মাত্রা আরও বেড়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।
এদিকে, ট্রাম্পের মন্তব্যগুলি তার নির্বাচনী প্রচারণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে পারে, যেখানে তিনি নিরাপত্তা এবং বিদেশী নীতির ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাইছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি আগামী নির্বাচনে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য ট্রাম্পের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ফলে ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যে সংঘাতের প্রকৃতি কিভাবে পরিবর্তিত হয় এবং বাইডেন প্রশাসনের কূটনীতির ওপর এর প্রভাব কী হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।