ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দাবি করেছেন, সারা বিশ্বের মুসলিমদের শত্রু একই। তিনি বলেন, এই শত্রুরা মুসলিমদের মাঝে ঘৃণার বীজ বপন করে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তেহরানে জুমার খুতবায় খামেনি এ মন্তব্য করেন। তিনি প্রায় পাঁচ বছর পর খুতবা দিয়েছেন।
খামেনি বলেন, “আমাদের শত্রুপক্ষ মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ ছড়িয়ে দিতে বিভাজন ও ঘৃণার বীজ বপন করার নীতি অবলম্বন করে।” তিনি উল্লেখ করেন, এই একই পক্ষ ফিলিস্তিনি, লেবাননি, মিসরীয় এবং ইরাকিদেরও শত্রু, এবং তারা ইয়েমেনি ও সিরীয়দের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে।
মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যের ডাক দিয়ে খামেনি বলেন, আগ্রাসনকারীদের হাত থেকে আত্মরক্ষার অধিকার প্রতিটি দেশের আছে। তিনি মুসলিম দেশগুলোকে তাদের সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এছাড়াও, খামেনি হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা এবং ইরানের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘আইনত ও বৈধ’ বলে দাবি করেন। তিনি ইসরায়েলকে দমন করতে ইরানের অবস্থান পরিষ্কার করেন, ইরান এ বিষয়ে বিলম্ব করবে না।
তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার রয়েছে।” তার মতে, আন্তর্জাতিক আদালত বা সংস্থাগুলি ফিলিস্তিনি জনগণকে মাতৃভূমি রক্ষার জন্য দোষারোপ করতে পারে না।
এটি উল্লেখ্য যে, ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং লেবাননে হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো খুতবা দিলেন খামেনি। তার খুতবা শুনতে হাজার হাজার মানুষ তেহরানে জড়ো হয়। অনেকের হাতে ছিল হিজবুল্লাহর পতাকা এবং ফিলিস্তিনের পতাকা।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা হিসেবে পরিচিত। তার শেষ খুতবা ছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে, যখন তিনি মার্কিন বিমান হামলায় নিহত রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলেন। তার বক্তব্য মুসলিম বিশ্বে একতা ও প্রতিরোধের গুরুত্বকে নতুন করে সামনে এনেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।