দ্বিতীয় দিন খেলা শুরুর মাত্র ৭ ওভারেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ফলে সংগ্রহটা চারশর সীমানা স্পর্শ করতে পারেনি টাইগাররা। তাই ব্যাটারদের আক্ষেপের উপকরণ ছিল যথেষ্টই। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সেই আক্ষেপ আড়াল করে দেওয়ার ভাবনা নিয়েই যেন মাঠে নেমেছিলেন বোলাররা।
বাংলাদেশের বোলারদের আগুনে বোলিংয়ে দিশেহারা আফগানিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ১৩৪ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। ফলে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষেই জয়ের প্রহর গুনছে লিটন দাসের দল।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) মিরপুরের ‘হোম অব ক্রিকেট’ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৩৬ রানের বিশাল লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দলীয় ১৮ রানে আগের ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো জয় দারুণ শুরুর পরও মাত্র ১৭ রান করে বিদায় নেন।
জয় ফেরার পরই যেন জমে উঠে জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি। আগের ইনিংসে ব্যর্থ জাকির এই ইনিংসে ত্রাস ছড়াচ্ছেন ব্যাট হাতে। শান্ত টেনে এনেছেন প্রথম ইনিংসে করা সেঞ্চুরির আত্মবিশ্বাস। দুজনে তাদের ব্যক্তিগত ফিফটিও তুলে নিয়েছেন।
দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২৩ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৪ রান। জাকির অপরাজিত আছেন ৫৪ রানে এবং শান্ত ৫৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এখন ৩৭০ রানে এগিয়ে আছে, হাতে আছে ৯ উইকেট।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের সুরুতে আগের দিনের ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে এদিন মাত্র সাত ওভার ব্যাটিং করে ২০ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৪৬ রান করেন তিনে নামা ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬, মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৮ ও মুশফিকুর রহিম ৪৭ রান করেন।
বোলিংয়ে আফগানিস্তানের হয়ে অভিষিক্ত পেসার নিজাত মাসুদ ৭৯ রানে ৫ উইকেট পান। ইয়ামিন আহমাদজাই ২ টি উইকেট পান। এছাড়া রহমত শাহ, জহির খান ও আমির হামজার শিকার একটি করে।
এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫১ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়েন নাসির জামাল ও আফসার জাজাই।
তবে এরপর টাইগারদের থাবায় কুপোকাত হয়ে মাত্র ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন আফসার জাজাই। এছাড়া নাসির জামাল ৩৫ ও করিম জানাত ২৩ রান করেন।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন। এছাড়া শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।