প্রাক ফাইনালে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান, দলে দুই পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
প্রাক ফাইনালে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান, দলে দুই পরিবর্তন

ফাইনালের আগে নিজেদের শক্তিমত্তা যাচাইয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দেখায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান। এ ম্যাচে বাবর আজম বিশ্রামে রেখেছেন দলের দুই সেরা ক্রিকেটার নাসিম শাহ ও শাদাব খানকে। তাদের বদলে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন হাসান আলি ও উসমান কাদির।


দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় লঙ্কানদের মোকাবিলায় মাঠে নামবে বাবর বাহিনী।


এবারের এশিয়া কাপে চমক নিয়ে হাজির হয়েছিল আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেয়ার পর, শঙ্কিত ছিল ভারত, পাকিস্তানও। রবীন্দ্র জাদেজা তো সংবাদ সম্মেলনে বলেই বসলেন, সুপার ফোরে ভারত অথবা পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে পাড়ি দিতে পারে আফগানিস্তান। অপরদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে অনেক কষ্টে সুপার ফোর নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।


শেষ পর্যন্ত শেষ চারের লড়াইয়ে আন্ডারডগ হিসেবে বাজিমাত করে লঙ্কানরাই। আফগানিস্তানের পরে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে দাসুন শানাকারা। আর তাতে পচা শামুকে পা কাটে কোহলিদের। ক্রিকেট বিশ্বকে হতাশ করে ফাইনাল না খেলেই বিদায় নেয় আসর থেকে। অন্যদিকে আতঙ্ক তৈরি করা আফগানিস্তান সুপার ফোরে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। এদিক থেকে অবশ্য নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে হারের পর, সুপার ফোরের ফিরতি লড়াইয়ে রোহিত বাহিনীকে হারিয়ে প্রতিশোধ তুলে নেয় তারা। আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে নিশ্চিত করে আসরের ফাইনাল।


প্রতিপক্ষ হিসেবে ফাইনালে ভারতকে না পেলেও বাবররা যাদের পাচ্ছে তারা আরও বিধ্বংসী। বিশেষ করে দুবাইয়ে টস ভাগ্য যদি শ্রীলঙ্কার পক্ষে যায়, তাহলে পাকিস্তানের জন্য সে ম্যাচ জেতা প্রায় অসম্ভব-ই হয়ে দাঁড়াবে। আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে তাদের লড়াই সে গল্পই বলে। ১৭৫ রান সংগ্রহের পর শক্তিশালী বোলিং লাইন আপ দিয়েও আফগানরা দমিয়ে রাখতে পারেনি লঙ্কানদের। আর আইপিএল খেলে টি-টোয়েন্টিতে বিশেষজ্ঞ বনে যাওয়া ভারতের বোলাররাও তাদের দমাতে পারেনি ১৭৩ রানের মধ্যে। পাথুম নিসাঙ্কা থেকে শুরু করে তাদের অষ্টম ব্যাটার চামিকা করুনারত্নে ব্যাট চালান ভয়ডরহীনভাবে।


শাহিন আফ্রিদি, ইমাদ ওয়াসিমদের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তান তাই লঙ্কান ব্যাটিংয়ে দমানোর পথে কিছুটা পিছিয়েই আছে। তবে শ্রীলঙ্কার দিলশান মাদুশাঙ্কা, মহেশ থিকসানা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও অসিথা ফার্নান্দোদের বোলিং লাইন আপের সামনে বাবর-রিজওয়ানদের ব্যাটিং লাইন আপটা নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবে। কিন্তু পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে নাসিম শাহ, শাদাব খানদেরই। যদিও ফাইনালের আগে তাদের সুপার ফোরের নিয়মরক্ষার ম্যাচে রাখা হয়েছে বিশ্রামে।


আসরে বর্তমান প্রেক্ষাপট বাদ দিলে পরিসংখ্যানে লঙ্কানদের তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। দুদলের ২১ দেখায় ১৩ বারই জিতেছে পাকিস্তান। তবে সবশেষ তিন দেখায় অবশ্য আধিপত্যটা শ্রীলঙ্কারই। ২০১৯ সালে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৩ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাবররা।


পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, ইফতেখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, হায়দার আলি, উসমান কাদির, মোহাম্মদ নেওয়াজ, হাসান আলি, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।


শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, কুশাল মেন্ডিস, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দানুস্কা গুনাথিলাকা, ভানুকা রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, মহেশ থিকসানা, প্রমোধ মাদুশান ও দিলশান মাদুশাঙ্কা।