প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২০, ৪:২১
বয়সভিত্তিক আর ঘরোয়া লিগের পারফরম্যান্স দিয়ে নির্বাচকদের রাডারে এসেছেন বারবার, তাঁর প্রতি আস্থার জায়গাটা এতই যে ব্যর্থ হওয়ার পরও তিন ফরম্যাটেই চেষ্টা করা হয়েছে তাঁকে দিয়ে। প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও করতে পারেননি পূরণ, টি-টোয়েন্টিতে শান্ত যেন আরও শান্ত। গতকালকের (১১ জানুয়ারি) আগে ৪৬ ইনিংস ব্যাট করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের গড় ছিল মাত্র ১৬.৬১!
চলতি বিপিএলেও শুরুটা করেছেন বেশ বাজেভাবে, প্রথম চার ম্যাচে ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক, দুইবার ফিরেছেন খালি হাতে। পঞ্চম ম্যাচ থেকে কিছুটা রানে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া তরুণ এই ব্যাটসম্যান পুরোদমে ফর্মে ফিরলেন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে। ঢাকার দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যও মামুলি হয়ে যায় তাঁর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে। অপরাজিত থাকেন ৫৭ বলে ১১৫ রানে, দল জিতে ৮ উইকেটের ব্যবধানে।
ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স আন্তর্জাতিকে টেনে নিতে না পারা কিংবা বিপিএল তথা টি-টোয়েন্টিতে বরাবরই ব্যর্থ হওয়া শান্ত জানালেন অন্য কোন ফরম্যাট নয় টি-টোয়েন্টিতে খারাপ করাটা তাকেও হতাশ করতো। তবে একজনের দেওয়া টোটকা, সাহস ও অনুপ্রেরণা চলতি বিপিএলের শুরুটা খারা হওয়া সত্বেও হতাশ করতে পারেনি শান্তকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানালেন তিনি আর কেউ নন খুলনা টাইগার্সের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। যিনি শান্তকে খারাপ সময়েও শান্ত থাকতে সাহায্য করেছে।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনকে কৃতজ্ঞতা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এখানে অস্বীকার করার কিছু নেই। এই একটা ফরম্যাটে আমি একটু হতাশ হয়ে যাই। লুকানোর কিছু নাই। একটা কথা বলব, শেষ দুই মাসের কথা যদি চিন্তা করি তাহলে একজন মানুষের কথা না বললেই নয়, তিনি হচ্ছেন খালেদ মাহমুদ সুজন স্যার। আরেকজন আমাদের কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের সোহেল স্যার, যিনি কোচ ছিলেন। এই দুজন আমার ওপর সবসময় বিশ্বাস রেখেছেন। তারা বলতো তুই কী প্লেয়ার বা তুই কীভাবে খেলতে পারিস আমাদের সেই বিশ্বাসটি আছে।’
‘এই দুজন যেভাবে আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বা এখনো যেভাবে সমর্থন করে এইটা আমার ব্যাটিংয়ে খুব হেল্প করেছে। যেরকম হচ্ছে, আমিও পারি। সেই বিশ্বাস আমার কাছে আসছে। যেরকম প্রথম চারটি ম্যাচে আমি কোনো রানই করিনি। তারপর আমি হতাশ হইনি যে আমি পারব না বা এমন কিছু। বিশেষ করে সুজন স্যারের কথা বলতে হয় যে আমার যখন আসরের শুরুতে চারটি ম্যাচ খারাপ গেল, তখন উনি এসে আমাকে বলল যে তুই এই দলের মেইন প্লেয়ার। এই ধরণের কথায় আমি অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই কারণে আজকে হয়তো এই ইনিংস খেলতে পেরেছি।’
মানসিক সমর্থন ছাড়া টেকনিক নিয়েও খালেদ মাহমুদ সুজন কাজ করেছেন কিনা জানতে চাইলে খুলনা টাইগার্সের এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘উনি সবসময় আমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট করেন। এরকম না যে ব্যাটিংয়ে স্কিল অনুযায়ী আমাকে এটা সেটা দেখিয়ে দেন। উনি সবসময় আমাকে বলেন তুই অনেক ভালো প্লেয়ার, তোকে অনেক দেখছি। সবসময় অনুপ্রেরণা যোগায়। ইতিবাচক কথা বলেন, সবসময় ওই আত্মবিশ্বাস আমাকে দেন।’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব