ধামইরহাটে গ্রামে গ্রামে চলছে ফ্রি ভ্যাকসিন নিবন্ধন কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো.হারুন আল রশীদ ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ১লা আগস্ট ২০২১ ০৭:১৮ অপরাহ্ন
ধামইরহাটে গ্রামে গ্রামে চলছে ফ্রি ভ্যাকসিন নিবন্ধন কার্যক্রম

নওগাঁর ধামইরহাটে গ্রামে গ্রামে চলছে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অনলাইনের মাধ্যম নিবন্ধন কার্যক্রম। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম্যঞ্চলে গিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করায় মানুষের মাঝে টিকা গ্রহণের উৎসাহ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।



 ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় এ মহৎ কাজটি করছে ঢাকাস্থ ধামইরহাট-পত্নীতলা কল্যাণ সমিতিসহ আরও কয়েকটি সংস্থা।



এব্যাপারে ঢাকাস্থ ধামইরহাট-পত্নীতলা কল্যাণ সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো.ফজলে রাব্বী বলেন,বর্তমানে করোনকালে পুরো পৃথিবী পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় শহরে টিকা গ্রহণের হার বেশি হলেও গ্রামে অনেক কম। তাই গ্রামের মানুষের দোড় গোড়ায় গিয়ে তাদেরকে টিকা গ্রহণে উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি বিনামূল্যে টিকা গ্রহণের নিবন্ধন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। 




গত ২৭ জুলাই উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত রাঙ্গামাটি বাজারে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো.ফজলুর রহমান। গতকাল (রবিবার) পর্যন্ত ধামইরহাট উপজেলার ৭টি এবং পতœীতলা উপজেলার ৭টি মোট ১৪টি পয়েন্টে ৫ হাজার মানুষের টিকা গ্রহণের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। 



যতদিন পর্যন্ত মানুষ টিকা গ্রহণ করবেন ততদিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। দুই উপজেলার কার্যক্রম দেখভাল করছেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.সাজেদুর রহমান সাজু। 



এ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন,আগ্রাদ্বিগুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.বেনজির আহমেদ,সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো.ফজলে রাব্বী,উপ দপ্তর সম্পাদক শিহাব আল মশিউর, ইউনিয়ন সমন্বয়ক নুর আলম,সাকলাইন হোসেন,রবিউল ইসলাম সানি,আকতার হোসেন চৌধুরী সৈকত। 




এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন,গ্রামের অজ্ঞ,দুস্থ্য মানুষ সহজে অনলাইনে টিকা গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য ধামইরহাট-পত্নীতলা কল্যাণ সমিতি প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 



এছাড়া কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার,ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে সীমান্তিক নামে একটি সেসরকার উন্নয়ন সংস্থাও কাজ শুরু  করেছে। আমাদের লক্ষ্য আশি ভাগের বেশি মানুষ যেন টিকা গ্রহণ করতে পারে।