কুষ্টিয়াতে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। সকাল থেকে মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহরে লোকজনের উপস্থিতিও ছিলো কম। রিকশা ছাড়া কোন যানবাহন চলতে দিচ্ছে না পুলিশ। মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের টিম। এছাড়াও পুলিশ ও আনসার বাহিনী শহরের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে।
এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বাঁশ বেঁধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বাসস্ট্যান্ড থেকে অভ্যন্তরীণ রুটসহ দূরপাল্লার সব রুটেই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথমদিনে কুষ্টিয়াতে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
সকাল থেকে শহরের প্রতিটি সড়কে টহল দিচ্ছে র্যাব, পুলিশ,ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। পৃথক পৃথক টহল টিমের সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে টহল দিচ্ছে পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে।এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৯ জনে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ১৭১ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।