প্রকাশ: ৬ জুন ২০২১, ২৩:১৬
নওগাঁয় আরও ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এটি এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। রবিবার (৬ জুন) নওগাঁ সদরসহ জেলার ১১টি উপজেলায় সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে ক্যাম্প করে ১ হাজার ১০৮ জনের সংগৃহীত নমুনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ওই ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ । এর আগে গত বছরের ২৬ জুন এক দিনে সর্বোচ্চ ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
ল²নবিহীন করোনা পজিটিভ ব্যক্তিদের শনাক্ত, নমুনা পরীক্ষায় নওগাঁ জেলার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এবং জেলায় করোনা পরিস্থিতি বোঝার জন্য ক্যাম্প করে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার এই উদ্যোগ নেয় জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ১ হাজার ১০৮ জনের মধ্যে ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এটা দেখে সা¤প্রতিক সময়ের মধ্যে সংক্রমণের হার কম মনে হলেও স্বস্তির কোনো কারণ নেই। কারণ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে যাঁদের নেগেটিভ এসেছে তাঁদের আবার আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হবে। আরটি-পিসিআর টেস্টে তাঁদের পজিটিভ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন শনাক্তের হার বেড়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, উন্মুক্ত ক্যাম্পে আজকে যে ১ হাজার ১০৮ জন নমুনা দিয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই লক্ষণবিহীন ছিলেন। তাঁদেরকে আমরা বুঝিয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজি করিয়েছে। অথচ এই লোকগুলোর মধ্যে থেকে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশই করোনা পজিটিভ। এটাই আমাদের জন্য উদ্বেগের। সমাজে এ ধরণের অনেকেই রয়েছেন যাঁরা করোনা পজিটিভ অথচ তাঁদের কোনো লক্ষণ নেই। করোনার পরীক্ষা না করেই তাঁরা মানুষের সংস্পর্শে যাচ্ছেন এবং করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন।
নওগাঁয় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ১৩ মে। এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ঘন্টায় এক জনের মৃত্য হয়েছে। মৃত ব্যক্তি একজন পুরুষ তার বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা সদরে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডা. আশীষ কুমার সরকার জানান, নতুন শনাক্ত ৯৫ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪ জন, সাপাহারে ১৫ জন, পতœীতলায় ১৪ জন, নিয়ামতপুরে ১০ জন, ধামইরহাটে ২ জন, মান্দায় ১০ জন, মহাদেবপুরে ৭ জন, পোরশায় ৮ জন, রাণীনগরে ৮ জন, বদলগাছী ২ জন এবং আত্রাই উপজেলার ৫ জন রয়েছে।