রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রুল জারি হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
এ ঘটনায় মামলা অনুসন্ধানে ব্যর্থতার কারণে দুর্নীতির তদন্তে দুদককে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেন। এ রুলের ভিত্তিতে দুদককে তাদের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
এই মামলায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
রিটে অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এই অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, যার ফলে তারা তদন্তে নিষ্ক্রিয়তার পরিচয় দিয়েছে। রিটে, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া, অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, ৫০০ কোটি ডলার বা ৫ বিলিয়ন ডলার মালয়েশিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে, যা বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের উন্নয়ন কাজে ব্যয় হওয়ার কথা ছিল। এই তথ্য বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন প্রকাশ করেছে।
এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে এই বিশাল পরিমাণ অর্থের লোপাটের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন পত্রিকায় এই বিষয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল, যার ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
হাইকোর্টের এই রুলের পরবর্তী শুনানি আগামী কিছুদিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে, এবং এর মাধ্যমে দুর্নীতির তদন্তে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।