পবিত্র কুরআন মানুষের জন্য আল্লাহতায়ালার এক অমূল্য নেয়ামত। এটি শুধু ইবাদতের জন্য নয়, বরং মানবজীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধানের নির্দেশিকা। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "কিয়ামতের দিন কুরআন তার পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে।" (মুসলিম)।
কুরআনের প্রতি আমাদের দায়িত্ব কেবল পাঠেই সীমাবদ্ধ নয়। এর অর্থ বোঝা এবং জীবনযাপনে এর নির্দেশ মেনে চলাও আবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেন, "এ কুরআন মুমিনদের জন্য হেদায়াত ও রহমত।" (সূরা নামল: ৭৭-৭৮)।
কুরআনের আধ্যাত্মিক প্রভাব
পবিত্র কুরআন মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন কুরআনের বাণী শুনে। একইভাবে হজরত উসমান (রা.) ইসলামের তৃতীয় খলিফা হন এবং তিনি কুরআনের নির্দেশাবলির ওপর আমল করে ইসলামিক সাম্রাজ্য বিস্তার করেন।
ইতিহাস সাক্ষী যে, কুরআন অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতিকে বদলে দিয়েছে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, একদল খ্রিস্টান নাবিক রাসূল (সা.)-এর তেলাওয়াত শুনে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারা বলেন, "আমরা কখনো ইসলাম ত্যাগ করব না।"
কুরআন পাঠের নির্দেশনা
কুরআন শুধু পড়লেই হবে না, বরং এর অর্থ অনুধাবন করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, "তোমরা কুরআন পড়, কারণ, প্রভাতে কুরআন পাঠ সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া হয়।" (সূরা বনি ইসরাইল: ৭৮)। হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করবে, তার জন্য কুরআন কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী হবে।"
আমাদের করণীয়
- প্রতিদিন সকালে কুরআন তেলাওয়াতে অভ্যস্ত হওয়া।
- এর নির্দেশাবলির ওপর আমল করা।
- কুরআনের প্রকৃত অর্থ বুঝতে চেষ্টা করা।
আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে কুরআন তেলাওয়াত করার এবং এর নির্দেশ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।