প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:১৭
তিন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ও শুক্রবার ভোররাতে ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ও জয়পুরহাটে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা ডাকাতি, মাদক ও অপহরণে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুল মোতালেব (৪২) নামে পাঁচটি ডাকাতি মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মোতালেব গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুরের ছয়ানী গ্রামের কেতু শেখ ওরফে আব্দুল গফুরের ছেলে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, রাতে গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে ডাকাতদল- এমন খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের দুটি দল সেখানে অভিযান চালায়। ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। সহযোগী ডাকাতদল পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোতালেব নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। তিনি আরও জানান, আহত মোতালেবকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মোতালেবের বিরুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল নাফ নদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ব্লক-এ/৩ এর সোলতান আহমেদের ছেলে আবুল হাসিম (২৫) ও ব্লক-সি/১ এর আবু ছিদ্দিকের ছেলে নূর কামাল (১৯)। বিজিবির দাবি- নিহতরা ইয়াবা কারবারি। এ সময় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি এলজি অস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলি এবং দুটি লম্বা দা উদ্ধার হয়েছে।
উভয়পক্ষের গোলাগুলি শেষে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তাদের পকেটে থাকা পরিচয়পত্রে তারা রোহিঙ্গা বলে শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্যও আহত হন। তারা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।বিজিবি কমান্ডার আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি একটি এলজি, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি রাম দা ও ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।