সিরাজগঞ্জের এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) শিক্ষক-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন। পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়নের জন্য এই কর্মবিরতি চলছে।
শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০% বাড়ি ভাড়া, শতভাগ উৎসব ভাতা, যৌক্তিক চিকিৎসা ভাতা ও অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনে নামেন। পূর্বের আন্দোলনের পর সরকার কিছু দাবিতে আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উৎসব ভাতা ২৫% থেকে ৫০% বাড়ানো হলেও, বাড়ি ভাড়া ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকায় উন্নীত করা শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
সরকারের বরাবরের আশ্বাসের পরও কোনও বাস্তব পরিবর্তন না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে সমবেত হন। সমাবেশ এতটাই বড় হয় যে আশপাশের রাস্তা ও অলিগলিও পূর্ণ হয়ে যায়। শিক্ষকদের উপস্থিতি এবং যানজট বৃদ্ধি পাওয়ায় পুলিশ সমাবেশ সরাতে চেষ্টা করে।
সমাবেশ চলাকালীন পুলিশ এবং শিক্ষকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ছড়ায়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চালিয়ে, টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। শিক্ষকদের হাতে কড়া পড়িয়ে টেনে নেওয়ার দৃশ্যও ধরা পড়ে। এই ঘটনা দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এর প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আন্দোলনে যোগ দেন। শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন। অন্যান্য জেলার শিক্ষক-কর্মচারীরাও ক্লাস বর্জন করে এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।