বানারীপাড়ায় কৃষকদল নেতার মৃত্যুতে রাজনৈতিক রঙের অভিযোগ

তবে এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামী করা হয়েছে জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মী ও স্থানীয় এক ইমামকে। যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহীম হাওলাদার অভিযোগ করেন, তিনি নিজে আহত লতিফকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন, অথচ তাকেও মামলার আসামী করা হয়েছে। স্থানীয় জামায়াত নেতারা বলছেন, প্রকৃত অভিযুক্তকে আড়াল করতে বিএনপি নেতারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছান, তারপরও তাকে আসামী করা হয়েছে। এতে অসংখ্য নির্দোষ মানুষ আতঙ্কে বাড়িছাড়া হয়েছেন। জামায়াতের ইউনিয়ন আমির মোহাম্মদ ফেরদাউস বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা নিতে নিরপরাধ লোকদের আসামী করেছে।

এদিকে নিহতের স্ত্রী পারভীনা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, তিনি মাত্র তিনজন আসামীর নাম দিয়েছিলেন। অতিরিক্ত আসামী যোগ করার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বানারীপাড়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরাফাত হাসান বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং নির্দোষ কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্তে প্রমাণিত হবে।

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে এবং পরদিন রবিবার নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। সোমবার ভোরে এজাহারনামীয় আসামী তুহিনকে ভোলা শহর থেকে র‌্যাব-পুলিশ যৌথভাবে গ্রেফতার করে।