প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
টাঙ্গাইলের সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ ক্যাম্প পৃথক অভিযানে দুইটি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে। প্রথমটি কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত মোঃ শাহজাহান আলী (৪০) এবং দ্বিতীয়টি গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত রাসেল (২৪) এর বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে।
প্রথম ঘটনার তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগী একজন বিধবা নারী, যার স্বামী ৭ বছর আগে মারা যান। অভিযুক্ত মোঃ শাহজাহান আলী নিয়মিতভাবে ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এবং কুপ্রস্তাব প্রদান করে। ভুক্তভোগী যখন পরিবারকে বিষয়টি জানায়, তখন অভিযুক্ত তাকে হুমকি প্রদানসহ ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ১২টার দিকে বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, যার ফলে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হন। ভুক্তভোগী পরে কুড়িগ্রামের রৌমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ অনুযায়ী মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাওয়ার পর সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ক্যাম্প তদন্ত শুরু করে এবং পলাতক অভিযুক্তের অবস্থান নিশ্চিত হয়। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ৮টা ৩০ মিনিটের সময় ঘাটাইল থানার ক্যান্টমেন্ট মসজিদ সংলগ্ন চায়ের দোকান থেকে মোঃ শাহজাহান আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
দ্বিতীয় ঘটনার তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগী একজন গার্মেন্টস কর্মী। অভিযুক্ত রাসেল তার ভাড়া বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতো এবং মিথ্যা বিয়ের আশ্বাসে দীর্ঘদিন দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। ১০ জুলাই ২০২৫ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে ভুক্তভোগীর ভাড়া বাসায় জোরপূর্বক ধর্ষণ সংঘটিত হয়। ভুক্তভোগী পরে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ অনুযায়ী মামলা নং-০৪, তারিখ ২ আগস্ট ২০২৫ খ্রি. দায়ের করেন।
এই ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ক্যাম্প সিপিএসসি, র্যাব-১, গাজীপুর এর সহায়তায় অভিযুক্ত রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত করে। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ঘাটাইল থানার আটা রসুলপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উভয় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা এবং আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের অভিযানে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনসাধারণকে অবিলম্বে সন্দেহজনক কার্যকলাপের তথ্য সরবরাহ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।