প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মেডিকেল মোর রেলগেইট এলাকা থেকে কাজির বাজার এবং উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাওয়ার বাইপাস সড়কটি এখন একেবারে অচল। রেলগেইট এলাকার মৎস্য আড়ত থেকে উৎপন্ন বজ্র ও আবর্জনা নিয়ম নীতি অমান্য করে রাস্তার ওপর ফেলা হয়, যার কারণে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই সড়ক। পচা দুর্গন্ধের কারণে প্রতিবেশী কয়েকশ পরিবারের জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠেছে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা সড়ক ব্যবহার করতে গিয়ে দুঃখ পোহাচ্ছে। ময়লা আবর্জনার কারণে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াসহ নানা রোগের আশঙ্কা বাড়ছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
মৎস্য আড়তের আশেপাশে অবৈধভাবে নানা ধরনের ভাসমান দোকানপাটও গড়ে উঠেছে। এই দোকানগুলো রাস্তার চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এবং যানবাহন চলাচলেও সমস্যা সৃষ্টি করছে। মৎস্য আড়তদার ও দোকানদারদের সাথে এলাকাবাসী বারবার আলোচনা করলেও তারা কোনো ধরনের শোনা নিচ্ছে না। স্থানীয় ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান জানান, মৎস্য আড়তদাররা নিয়মিতভাবে রাস্তার ওপর ময়লা আবর্জনা ফেলে চলাচল অচল করে দিচ্ছে এবং দুর্গন্ধের কারণে এলাকায় বসবাস কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী ইতি সর্মাও জানান, প্রতিদিনই তারা এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন, কিন্তু মৎস্য আড়তদারদের আবর্জনার কারণে চলাচলে বড় সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তাটির সামনে ভাসমান দোকানের কারণে যানবাহন নিয়ে চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। তারা আশা প্রকাশ করেছেন এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।
স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মাহমুদ জানান, পথচারীরা প্রতিনিয়ত তাদের কাছে এই সমস্যার অভিযোগ করছেন এবং দ্রুত সমস্যার সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন। হাতীবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাজেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অনেক আগেই তাদের জানা। মৎস্য আড়তদারদের অনেকবার নিষেধ করা হয়েছে, কিন্তু তারা কোনোভাবে মেনে নেয়নি। রেল লাইনের ওপর অবৈধ দোকানগুলো বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
বিগত সময় থেকে এলাকাবাসী ও পথচারীরা এই বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সড়ক সংস্কারের দাবি করছে যেন তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত হয়।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাইপাস সড়কের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে, এলাকাবাসীর দুঃখ কষ্ট বাড়বে এবং পরিবেশগত ক্ষতিও বেড়ে যাবে। প্রশাসনকে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে এলাকাবাসী মনে করছে।