প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ২০:৩৪
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি পূর্বঘোষিত পথসভাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে ট্রাকের ওপর তৈরি করা মঞ্চে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ এনসিপি নেতাকর্মীদের। তারা দাবি করেন, স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে মঞ্চ ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং উপস্থিত মাইকিং দলকে তাড়িয়ে দেন। ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বিএনপির একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে। বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, কক্সবাজার শহরের এক সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে ইঙ্গিত করে ‘গডফাদার’ মন্তব্য করেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে চকরিয়াসহ জেলাজুড়ে প্রতিবাদে নামে। দুপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে মিছিল শুরু হয় এবং চকরিয়ায় এনসিপির পথসভাস্থলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিএনপি-ছাত্রদল কর্মীরা।
এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিকেলে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও হামলার কারণে তারা উপস্থিত হতে পারেননি। এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এম এম সুজা উদ্দিন জানান, হামলার আশঙ্কায় নেতাকর্মীরা চকরিয়ায় অবস্থান না করে নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করেন। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় তারা আতঙ্কিত হলেও প্রশাসনের সহযোগিতায় বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
তবে চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বড় ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। কেবল একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত সতর্ক অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তিনি আরও বলেন, এনসিপির নেতারা মঞ্চে ওঠেননি এবং তারা অনুষ্ঠান স্থগিত করে ফিরে গেছেন।
ঘটনার পর চকরিয়ার রাজনীতিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একদিকে এনসিপি অভিযোগ করছে রাজনৈতিক সহিংসতার, অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিক্রিয়ার পক্ষে ব্যাখ্যা দিচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নজরে রেখে প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সংঘর্ষ এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।