প্রকাশ: ৩ জুলাই ২০২৫, ১১:২২
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার রাতে বুড়িমারী-রংপুর মহাসড়কের পাটগ্রামের সরেঅ-বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই যুবক বেলাল ও সোহেলকে আটক করে প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে এক লাখ টাকার বেশি রিসিভ মানি জব্দ করা হয়েছে।
এই গ্রেফতার ও সাজাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্র জানায়, খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিএনপির কর্মী ও সমর্থকরা পাটগ্রাম থানার সামনে জড়ো হন এবং পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে বিএনপি নেতা চপলসহ দলের ১৪-১৫ জন কর্মী আহত হন বলে তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, হঠাৎ থানায় হামলার ঘটনায় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। তিনি জানান, সংঘর্ষে পুলিশের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন এবং থানার কিছু সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, আটক হওয়া দুই যুবক রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে চাঁদাবাজি করছিলেন। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি করছিল।
সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় দ্রুত বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষ ও বিজিবি মোতায়েনের ঘটনায় স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেউ আইন হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।