প্রকাশ: ২ জুলাই ২০২৫, ২১:৪৬
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় নিয়মিত টহলের সময় ভারতীয় অবৈধ চোরাচালান পণ্যের একটি বড় চালানসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর তিনটার দিকে কলোনীপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী একটি পিকআপে তল্লাশি চালিয়ে এসব পণ্য উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এএসআই ফারুক ও তার সঙ্গীয় ফোর্স। আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা পণ্যের মধ্যে ছিল ভারতীয় কসমেটিকস, প্রসাধনী তৈল, চাপাতা, গুঁড়োদুধ, ভিম ওয়াশিং সাবান, সানসিল্ক শ্যাম্পু, ক্লিনিক প্লাস, ছাতা, সাইড ব্যাগ ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাবান।
পানছড়ি থানা সূত্রে জানা যায়, আটককৃত পাঁচজনই খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তারা হলেন জেলা সদরের শুনিতি ময় চাকমা, রুকি তালুকদার, মহালছড়ির রিংকু চাকমা, সুজদা চাকমা ও রুপনা চাকমা। পুলিশের ধারণা, সীমান্ত সংলগ্ন রত্নগিরি এলাকায় ঢালাই কাজ উপলক্ষে ভিড় জমার সুযোগে এই পণ্যগুলো চোরাচালানের উদ্দেশ্যে আনা হয়।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, ওই এলাকায় রত্নগিরি অরণ্য কুটিরে স্বেচ্ছাশ্রমে ঢালাই কাজ চলছিল। এই কর্মযজ্ঞের আড়ালে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় পণ্য নিয়ে এসে সেগুলো খাগড়াছড়ির বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
এ ধরনের চোরাচালান কেবল স্থানীয় বাজার ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে না, বরং দেশের রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিও তৈরি করে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জসিম উদ্দিন বলেন, চোরাচালান, মাদক এবং অন্যান্য অপরাধ নির্মূলে থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে মামলার জন্য খাগড়াছড়ি পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পানছড়ি চোরাচালানকারীদের জন্য একটি সুবিধাজনক জায়গা হয়ে উঠছে, তবে পুলিশ সব ধরনের অপতৎপরতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে।
এ ধরনের অভিযানের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ প্রবণতা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। এতে করে সাধারণ মানুষও কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।