নবীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, সেনা অভিযানে ১৩ জন আটক

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, নজর উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের সময় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গ্রামবাসীর মধ্যে "ডাকাত এসেছে" বলে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। এতে প্রায় ২০০ জন দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশকে ঘিরে ফেলে এবং নজর উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেয়। তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারেন এবং পুলিশের একটি ভ্যান ও দুটি সিএনজি ভাঙচুর করেন।

এই ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার কনস্টেবল শাহ ইমরান, মোজাম্মেল হক ও পল্টন চন্দ্র দাশ আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঘটনার সূত্রপাত মূলত গত ৩১ মে জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অভিযান পরিচালনাকে কেন্দ্র করে। ওইদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে হাট কর্তৃপক্ষের সংঘর্ষ হয়। একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছিত করা হয় এবং সরকারী কাজে বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হাট চালু রাখা হলে ১ জুন ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

এই মামলারই এক আসামি নজর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় পুলিশ। রোববারের চিরুনি অভিযানে বানিয়াচং সেনা ক্যাম্পের সহায়তায় ১৩ জনকে আটক করা হয় এবং তাদের নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।” হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান বলেন, “এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনার পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।