প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১১:৩৭
মাগুরার সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছাত্রাবাসে আটক পাঁচ ব্যবসায়ীকে সেনা সদস্যরা উদ্ধার করেছে। তারা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। উদ্ধারকৃত ব্যবসায়ীরা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামের বাসিন্দা। তারা ইলেক্ট্রনিক পণ্য ফেরি করে বিক্রির জন্য মাগুরায় আসেন।
তাদের আটক এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। শান্ত মাগুরা পৌরসভার একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। গত ২১ মে ওই পাঁচ ব্যবসায়ী শান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এরপর তাদেরকে কৌশলে ছাত্রাবাসে নিয়ে গিয়ে আটকে মুক্তিপণ দাবি করেন। ব্যবসায়ীরা আর্থিক অসঙ্গতির কথা জানালে শান্ত আরও কয়েকজনকে নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়।
এলাকাবাসী জানান, ওই ছাত্রাবাসটি মালিকানাধীন একজন প্রবাসীর। গত কিছুদিন ধরে ইসতিয়াক শান্ত ছাত্রাবাসের ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে নিজ দখলে নিয়ে নিয়মিত সেখানে মাদকাসক্তদের সমাগম এবং বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন।
অভিযানে সেনারা ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করার পাশাপাশি ছাত্রাবাস থেকে মাদকদ্রব্যও জব্দ করে। পরে ব্যবসায়ীদের মাগুরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী জানান, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত থাকার আশঙ্কা রয়েছে এবং তাদেরও আটক করতে অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে। মাগুরা জেলা দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন অপরাধ এবং মাদক ব্যবসার জন্য পরিচিত। সম্প্রতি এই ধরনের ঘটনা এলাকায় নিরাপত্তার সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সেনা ও পুলিশি কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়।