প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১৯:১৬
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার নারী জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহমুদা বেগম লাকীকে। তিনি মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সোমবার (২০ মে) রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি ঝটিকা মিছিল থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর রাতেই তাকে খাগড়াছড়িতে এনে দীঘিনালা থানায় হস্তান্তর করা হয়। দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া নিশ্চিত করেছেন, মাহমুদা বেগম লাকীর বিরুদ্ধে দীঘিনালা থানায় পূর্বে দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকা থেকে ফেরত আনার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র। যদিও তার বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি, তবে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত কিনা তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা।
মাহমুদা বেগম লাকী একজন পরিচিত রাজনৈতিক মুখ। খাগড়াছড়ির একমাত্র নারী ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি জনপ্রশাসনে একজন উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিলেন এবং স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয় রাজনীতিতে লাকীর অবস্থান সবসময় ছিল দৃঢ় ও প্রভাবশালী। তার গ্রেপ্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে এটিকে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করছেন।
মহিলা নেতৃত্বে সম্পৃক্ত থেকে তিনি দীঘিনালার নারীদের সামাজিক-রাজনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছিলেন। তার হঠাৎ গ্রেপ্তারকে অনেকেই নারীর রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার পথে একটি ধাক্কা বলেও অভিহিত করেছেন।
এই ঘটনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে পাহাড়ি এলাকার রাজনীতিতে। সামনে মাহমুদা বেগম লাকীর বিরুদ্ধে মামলার বিস্তারিত এবং আইনি পদক্ষেপগুলো পরিষ্কার হলে বিষয়টি নিয়ে আরও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।