প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১২:৫৭
রাজবাড়ীর বসন্তপুর ইউনিয়নে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে মূল হোতা বছির কবিরাজ। মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে। গ্রেপ্তারকৃত বছির সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং হবি কবিরাজের ছেলে। তাকে রাজবাড়ী সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত রবিবার বিকেলে রাজাপুর মধ্যপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে। নিহত রুপল শেখকে হত্যার প্রতিবাদে স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে আসে। মানববন্ধন চলাকালে উত্তেজিত কিছু অংশগ্রহণকারী রুপল হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাব্বির হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আবুল হাশেম বাধা দেন।
বাধা দেয়ার পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েকজন হামলাকারী পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এই হামলায় এসআই সাব্বির হোসেন মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে দুইজনকে আটক করে এবং পরদিন আরও অভিযানে নামে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার আহত এসআই নিজেই বাদী হয়ে মোট ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অন্যান্য আসামিদেরও চিহ্নিত করে একে একে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
সোমবার রাতেই ডিবি ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে মনির হোসেন মোল্লা ও মোসলেম মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। তারা মামলার ১ নম্বর ও ২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। ইতিমধ্যে তাদেরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পুরো ঘটনার পেছনে যে হত্যাকাণ্ড, সেই রুপল শেখের মৃত্যুর ঘটনাও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এলাকায়। এক প্রবাসীর স্ত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ এবং চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার ঘটনায়ও পৃথক মামলা হয়েছে এবং কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, দুটি মামলাই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা হবে।