প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ১৯:৫৫
মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেছে। টহল বাড়ানোর পাশাপাশি বিজিবি ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে চেকপোস্ট বসিয়ে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যে ভারতের দিক থেকে 'পুশ ইন' করার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ সবচেয়ে বেশি উঠেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্ত এলাকায়।
বুধবার সকালে ওই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক অনুপ্রবেশ করলে বিজিবি তাদের আটক করে হেফাজতে নেয়। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছে। আটক ব্যক্তিরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা হলেও সবাই জানায় তারা দীর্ঘদিন ভারতের আসামে বসবাস করছিলেন।
মাধবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ণ শীল জানান, আটককৃতরা জানিয়েছে ভারতের পুলিশ তাদের বাড়িঘর ভেঙে দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিকভান্ডারে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বিএসএফ তাদের ধলই সীমান্তে এনে গেট খুলে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করে।
তিনি আরও বলেন, ওই দলে প্রায় তিন শতাধিক লোক ছিল, তবে কতজন কোথায় গেছে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ধলই সীমান্ত দিয়ে যারা প্রবেশ করেছে, তাদেরই বিজিবি আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রতিটি চলাচল পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে পুশ ইন সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমাদের কাছে এখনো নিশ্চিতভাবে আসেনি।
স্থানীয়দের দাবি, সীমান্তের ওপার থেকে এই অনুপ্রবেশ ও উচ্ছেদের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে সামাজিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।