প্রকাশ: ৩ মে ২০২৫, ১৯:৫১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামে মেঘনা নদীর ভাঙন দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। সম্প্রতি নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনের শিকার এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন। তিনি নৌকাযোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন এবং ভাঙনের বাস্তব চিত্র পর্যবেক্ষণ করেন।
পরিদর্শনে ইউএনও-র সঙ্গে ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হানিফ আহমেদ সবুজ এবং সরাইল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার। তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। ইউএনও জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে ইতিমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
ভাঙন কবলিত এলাকায় বহু পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙন চললেও স্থায়ী কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে একের পর এক গ্রাম নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হানিফ আহমেদ সবুজ বলেন, ইউএনও সাহেবের নেতৃত্বে ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা হয়েছে। আমরা সকলে মিলেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তাগিদ দিয়েছি। স্থানীয় মানুষ আজ আশার আলো দেখতে শুরু করেছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, পানিশ্বর এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধে একটি প্রকল্প পরিকল্পনা করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, এই এলাকা বহুদিন ধরে ভাঙনের শিকার। নদীর গতিপথ, পানির প্রবাহ এবং বসতির অবস্থান বিবেচনায় আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভাঙন প্রতিরোধে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি। একই সঙ্গে সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে এসে ভাঙনপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
সরাইলের মানুষের প্রত্যাশা, এবার শুধু আশ্বাস নয়, বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধ হবে এবং বহু মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।