সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ১ মে মহান মে দিবসটি পালিত হলেও এই অনুষ্ঠানে ছিল না কোনো শ্রমিকের উপস্থিতি, যা শ্রমিকদের জন্য এক বড় ধরনের অনুযোগের সৃষ্টি করেছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি পালন করা হলেও সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ছাড়া অন্য কোনো শ্রমিকদের দেখা যায়নি। এ নিয়ে খেটে খাওয়া দিনমজুররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে।
দুপুর ১২টার দিকে রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আইসিটি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নিলেও শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল না। স্থানীয় রিকশা চালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা দেখা যায়। তাদের অভিযোগ, "শ্রমিক দিবস এলেও আমাদের কেউ মনে করে না, আমরা কাজ করতে করতে দিন পার করি, প্রশাসনের কোনো দাওয়াত আমাদের পৌঁছায় না," একদিনমজুরের এমন কথায় স্পষ্ট হয় তাদের হতাশা।
এদিকে, রায়গঞ্জ উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. শামছুল ইসলাম বলেন, “এসময় শ্রমিকদের আমি কোথাও দেখি না, প্রশাসন শুধু রাজনৈতিক নেতাদের দাওয়াত করেছে।” জামায়াতের উপজেলা নায়েবে আমির মো. আবুল কালাম বিশ্বাসও মন্তব্য করেন, “আমি তো কোন দাওয়াত পাইনি, তবে আমি জানি, কোথাও কোনো শ্রমিক ছিলেন না।”
উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, তার পক্ষ থেকে ১০ জন শ্রমিক পাঠানো হয়েছিলো, তবে তাদের মধ্যে কেউ অনুষ্ঠানটিতে অংশ নিয়েছিল কিনা তা তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা সকলকে ইনভাইট করেছি, তবে শ্রমিকদের উপস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, মাত্র ১০ জন শ্রমিকই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল।"
এটি এমন একটি ঘটনা যেখানে মহান মে দিবসের মূল উদ্দেশ্য, শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা উদযাপন, পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। যেখানে শ্রমিকদের উপস্থিতি না থাকার কারণে দিবসটি যেন এক ধরনের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।