হিলিতে জনতার হাতে আটক ভূয়া পুলিশ সদস্য

আটককৃত ওমর ফারুক দিনাজপুর সদর উপজেলার পাঁচপুল হাজীপাড়া এলাকার আমিন উদ্দিনের ছেলে। তার দাবি ছিল, তিনি ডিএসবি পুলিশের সদস্য এবং এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ করছেন। এই পরিচয়ে তিনি মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে শিক্ষককের কাছে অর্থ দাবি করেন।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর বারোটার দিকে ওমর ফারুক আলিহাট গাজী আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ভেরিফিকেশনের কথা বলে তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও সার্টিফিকেটের ছবি মোবাইলে সংগ্রহ করেন এবং তথ্য পাঠানোর অজুহাতে টাকা চান। তার আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে এবং পুলিশকে খবর দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সুজন মিঞা বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় ওমর ফারুককে আটক করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বাগদোড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ মামুনুর রশীদ জানান, একই দিন ওমর ফারুক তাদের মাদ্রাসাতেও যান এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ তারেক হোসেনের কাছ থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র, সার্টিফিকেটের ছবি এবং ৩ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে থানায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অর্থ গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করেন।

ওসি মোঃ সুজন মিঞা আরও জানান, দুটি ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে আটক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয়দের তৎপরতায় এই প্রতারণার ঘটনা দ্রুত সময়ের মধ্যেই থামানো সম্ভব হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। যারা সরকারি কার্যক্রম বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কেউ তথ্য বা টাকা দাবি করবে, তাদের পরিচয় যাচাই না করে কিছু দেওয়া যাবে না।

এই ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ আরও সচেতন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে স্থানীয়ভাবে নজরদারি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে।