সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আটক ১

তুষার আহমদ চৌধুরী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহার ঘনিষ্ঠ গ্রুপের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় তিনি স্থানীয়ভাবে আলোচিত রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে টার্গেট হন বলে দাবি করেছে এলাকাবাসী।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দলদলি চা বাগান এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হচ্ছিল। এরই একপর্যায়ে তুষারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চা বাগানের শ্রমিকরা বাঁচাও বাঁচাও শব্দ শুনে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তুষারকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, তবে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা। ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর রাত ১২টার দিকে আম্বরখানা বড়বাজার এলাকা থেকে জাবেদ আহমদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে, যিনি ঘটনার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তুষার হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার ও গ্রুপিং-সংক্রান্ত জটিলতা থাকতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং অন্যান্য জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থারাও ঘটনাটির তদন্তে মাঠে নেমেছে।

সিলেট নগরীতে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়, তবে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন নিহত তুষারের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।