রায়গঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে তোলপাড়

সোমবার জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ দায়ের করেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। তারা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, কাজীমুদ্দিন কাজী তার পদ-পদবি ও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম করে আসছেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বর্তমান সরকারের পতনের গুজব ছড়ানোর পর থেকে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে কোণঠাসা করার পর বিএনপির দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন পুকুর, মাটির পয়েন্ট ও গাছ বিক্রির নামে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করেছেন।

অভিযোগকারীরা জানান, ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে চাঁদা আদায় করায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তার এসব কর্মকাণ্ডের ফলে এলাকার রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে ভোটের পরিবেশ ও স্থানীয় বিএনপির জনপ্রিয়তা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলেও দাবি করেন তারা। 

অভিযোগকারীরা আরও বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পরাজিত করার পর বিএনপির নেতা পরিচয়ে কাজীমুদ্দিন কাজী সাধারণ মানুষকে নানা অজুহাতে হয়রানি করে আসছেন। তাই দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাজীমুদ্দিন কাজী তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে। তিনি কখনও কারও কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেননি এবং এসব অভিযোগের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। 

জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। উর্ধ্বতন নেতাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। 

এদিকে, ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তদন্তের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে এলাকাবাসী।