ঈদুল ফিতরের ছুটিতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে নজরকাড়া দর্শনার্থী সমাগম ঘটেছে। ছয়দিনের মধ্যে এখানে ৮ হাজার ৪০৫ জন দর্শনার্থী ও পর্যটক আসেন, যা থেকে মোট ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ দুই উপজেলা মিলে এক হাজার ২৫০ হেক্টরের বিশাল পরিসরে অবস্থিত এই উদ্যানটি, যার পাশে রয়েছে চা বাগান ও খাসি সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। ঈদের ছুটিতে তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে বহু পর্যটক এখানে আসেন।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জের সূত্র মতে, ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন ৩১ মার্চ ৮৯৩ জন দর্শনার্থী এসেছিলেন এবং রাজস্ব আয় ছিল ৮৭ হাজার ৮৫০ টাকা। ঈদের পরবর্তী দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ১ এপ্রিল ১ হাজার ৭৪১ জন দর্শনার্থী আসেন, রাজস্ব আয় হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ২০০ টাকা। ২ এপ্রিল ১ হাজার ৮৯৯ জন দর্শনার্থী আসেন, এবং আয় হয় ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৫০ টাকা।
ঈদের চতুর্থ দিন ৩ এপ্রিল ১ হাজার ৬৮৭ জন এবং পঞ্চম দিন ৪ এপ্রিল ১ হাজার ৭০ জন দর্শনার্থী আসেন। এরপর, ৫ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ জন দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন। ছয় দিনে মোট রাজস্ব আয় হয় ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা এবং ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৪৮ টাকা।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের জন্য নির্ধারিত টিকিট মূল্য ১২ বছরের ঊর্ধ্বে ১১৫ টাকা, ১২ বছরের নিচে ৫৭.৫০ টাকা এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত গ্রুপ টিকিট মূল্যও রয়েছে।
এ বিষয়ে লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, "ঈদে অন্যান্য সময়ের তুলনায় দর্শনার্থী সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এই বছরে আগের তুলনায় রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।"
এই উদ্যানের দর্শনীয় স্থানগুলো, যেমন সবুজ বনাঞ্চল ও চা বাগান, পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে, যা মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।