প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৩
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল আহাদ ইবনে মালেকের স্ত্রী মিনারা বেগম। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিনারা বেগম মিরপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন এবং উপজেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগের দায়িত্বশীল পদে ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান ও দলীয় কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে দরজা খোলা ও লাইট বন্ধ দেখতে পান আব্দুল আহাদ। ঘরে প্রবেশ করে তিনি খাটের ওপর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ এবং খাটের নিচে সাত মাসের শিশু সন্তানকে দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দিলে বাহুবল মডেল থানার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দীন ও বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং হত্যার কারণ অনুসন্ধানসহ দোষীদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা হত্যার রহস্য দ্রুত উদঘাটন ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম তদন্ত শুরু করেছে এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বাহুবল মডেল থানার ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।
এদিকে জামায়াতের সিলেট মহানগর শাখার সেক্রেটারি এম শাহজাহান আলী এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দলীয়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুষ্ঠু তদন্তের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পেছনে পারিবারিক শত্রুতা, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি তবে সন্দেহভাজনদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।